কক্সবাজাররামুসারাদেশ
Trending

৫৫ লাখ টাকা ঘুষে ১৩ শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগ, তদন্তে অধিদপ্তর

প্রতিবেদক
নিয়োগ বোর্ড ও ম্যানেজিং কমিটির সদস্যদের সই জাল করে ১৩ জন শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগ দিয়েছেন। কৌশলে তাদের এমপিওভুক্তিও করিয়েছেন। বিনিময়ে নিয়োগপ্রাপ্তদের কাছ থেকে হাতিয়ে নিয়েছেন ৫৫ লাখ টাকা। নিয়োগে সই জাল করে এমন ঘুস বাণিজ্যের ঘটনা ঘটেছে কক্সবাজারের রামুর আল গিফারী (রা.) আদর্শ দাখিল মাদরাসায়। ওই মাদরাসার সুপার শামসুল আলম ও তার সহযোগী মো. আমিন এমন কান্ড ঘটিয়েছেন।
বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর মাদরাসার ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি নুরুল আমিন কোম্পানি গত ১৩ আগস্ট মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তরে লিখিত অভিযোগ দেন। তার অভিযোগ আমলে নিয়ে তা তদন্তের উদ্যোগ নিয়েছে মাদরাসা অধিদপ্তর। মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক (অর্থ) মো. লুৎফর রহমানকে মাদরাসা পরিদর্শন করে পুরো ঘটনা তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে আগামী ১২ সেপ্টেম্বরের মধ্যে তদন্ত শেষ করে অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে প্রতিবেদন জমা দিতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট) মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. জাকির হোসাইনের সই করা আদেশে এ তথ্য জানানো হয়। তবে জারিকৃত এ আদেশের তথ্য বুধবার (৩০ আগস্ট) মাদরাসা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়।
আদেশে বলা হয়, কক্সবাজারের রামু উপজেলাধীন আল গিফারী (রা.) আদর্শ মাদরাসার সুপার শামসুল আলম ও মো. আমিন কর্তৃক নিয়োগ বোর্ড ও ম্যানেজিং কমিটির সদস্যদের স্বাক্ষর জাল করে ৫৫ লাখ টাকা ঘুস গ্রহণের বিনিময়ে ১৩ জন নতুন শিক্ষক-কর্মচারীর নিয়োগ ও এমপিওভুক্তি বিষয়ে মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তরে ওই মাদরাসার ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি নুরুল আমিন কোম্পানি অভিযোগ করেছেন। ওই অভিযোগের বিসয়ে সরেজমিন তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন আগামী ১২ সেপ্টেম্বরের মধ্যে অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবর দাখিল করার জন্য সহকারী পরিচালক (অর্থ) মো. লুৎফর রহমানকে নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।
অন্যদিকে রামু উপজেলার দক্ষিণ মিঠাছড়ি ইসলামিয়া দাখিল মাদরাসার সুপারের বিরুদ্ধে রেজ্যুলেশনে সই জাল করে কাগজপত্র সৃজন এবং কর্মরত শিক্ষকদের বাদ দিয়ে নতুন শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগের অভিযোগও তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তর।
অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. জাকির হোসাইনের সই করা পৃথক আরেক আদেশে বলা হয়, রামু উপজেলার দক্ষিণ মিঠাছড়ি ইসলামিয়া দাখিল মাদরাসার সুপারের বিরুদ্ধে জালিয়াতির মাধ্যমে সরকারি কর্মকর্তার সই ও রেজ্যুলেশন জাল এবং ব্যাক ডেট দিয়ে ভুয়া কাগজপত্র সৃজন এবং বৈধ ও কর্মরত শিক্ষকদের বাদ দিয়ে নতুনদের এমপিভুক্ত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। সরেজমিনে এ অভিযোগও তদন্ত করে ১০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে মাদরাসা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবর প্রতিবেদন জমা দিতে সহকারী পরিচালক (অর্থ) মো. লুৎফর রহমানকে নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।

Related Articles

Back to top button