জাতীয়
Trending

‘রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন দ্রুত শুরু না করলে এই অঞ্চল হুমকির মধ্যে পড়বে’

উজরা জেয়াকে প্রধানমন্ত্রী

ডেস্ক নিউজ
যত দ্রুত সম্ভব রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন শুরু করা উচিত, অন্যথায় এই অঞ্চল নিরাপত্তা হুমকির মধ্যে পড়বে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) জাতিসংঘের ৭৮তম অধিবেশনের ফাঁকে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের বেসামরিক, নিরাপত্তা, গণতন্ত্র ও মানবাধিকারবিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল উজরা জেয়া প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এ কথা বলেন। উজরা জেয়াকে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, রোহিঙ্গারা ইতোমধ্যে বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকান্ডে জড়িয়ে পড়েছে। যার মধ্যে হত্যা, আগ্নেয়াস্ত্র চোরাচালান এবং মাদক ব্যবসা রয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের অগ্রাধিকার হচ্ছে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে প্রত্যাবাসন করা। তিনি বলেন, রোহিঙ্গারা হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। কারণ, তাদের প্রত্যাবাসন দীর্ঘায়িত হচ্ছে এবং তারা অপরাধমূলক কর্মকান্ডে জড়িয়ে পড়েছে এবং তারা সেখানে কোনো ভবিষ্যৎ অনুভব করছে না।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী গাম্বিয়ার আন্তর্জাতিক আদালতে (আইসিজে) দায়ের করা মামলায় আন্তর্জাতিক সমর্থনও চেয়েছেন। সাতটি দেশ ফ্রান্স, কানাডা, নেদারল্যান্ডস, যুক্তরাজ্য, ডেনমার্ক ও মালদ্বীপ মামলার প্রতি সম্মতি দিয়েছে।
বৈঠকে উজরা জেয়া প্রধানমন্ত্রীকে জানান, তারা রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসনের জন্য বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের জন্য ১১৬ মিলিয়ন ডলার বরাদ্দ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের উন্নত জীবিকা নিশ্চিত করতে তাদের কর্মসংস্থান সৃষ্টির ওপর জোর দেন। রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানো শুরু করার আগে রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন উজরা জেয়া। বৈঠকে বাংলাদেশের আগামী জাতীয় নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, তারা বাংলাদেশে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও অহিংস নির্বাচন চান।
এ বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন বলেন, আমরাও অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন চাই। জনগণের সমর্থন ছাড়া কোনো সরকার ক্ষমতায় থাকতে পারে না। তিনি বলেন, সহিংসতামুক্ত নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য বিশেষ করে রাজনৈতিক দলগুলোর আন্তরিক সহযোগিতা প্রযোজন। আমরা জনগণের ভোটে বিশ্বাস করি। ভোট কারচুপির মাধ্যমে কেউ ক্ষমতায় এলে তারা ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারবে না। বাংলাদেশে সংবিধান অনুযায়ী জাতীয় নির্বাচন হবে।
এদিকে, গণহত্যা প্রতিরোধে জাতিসংঘের বিশেষ দূত অ্যালিস ওয়াইরিমু এনদেরিতুও শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন বলে জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এ সময় প্রধানমন্ত্রী ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় গণহত্যাকে গণহত্যা হিসেবে স্বীকৃতি দিতে জাতিসংঘের প্রতি আহ্বান জানান। একই সঙ্গে মিয়ানমারে গণহত্যার বিচার অব্যাহত রাখতে জাতিসংঘের সহযোগিতা চেয়েছেন। সূত্র : বাসস

Related Articles

Back to top button