আইন-আদালতকক্সবাজারকক্সবাজার সদর

আলোচিত ইমন হত্যার প্রধান আসামীকে মামলার ২৪ ঘন্টার মধ্যে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব-১৫

ডেস্ক রিপোর্টঃ

কক্সবাজারের আলোচিত ইমন হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত প্রধান আসামীকে মামলার ২৪ ঘন্টার মধ্যে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১৫

গত ২১ জুলাই রাতে কক্সবাজার জেলার সদর থানাধীন পেশকারপাড়া এলাকায় দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে কক্সবাজার পৌরসভার ০৪ নং ওয়ার্ডের ছাত্রলীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক ইমন হাসান মাওলা (২৪)খুন হয়। তিনি শহরের উত্তর টেকপাড়ার মোহাম্মদ হাসানের পুত্র। জানা যায়, ভিকটিম ইমন ওইদিন রাত আনুমানিক ২১.০০ ঘটিকার সময় পেশকারপাড়ার বাঁকখালী নদীর সিকো বরফকল পয়েন্টে মোটরসাইকেলে করে ঘুরতে যায়। এসময় পূর্বপরিকল্পিতভাবে আব্দুল খান @ আবদুল্লাহ খান (২৭)তার কয়েকজন সহযোগীসহ ইমনের মোটরসাইকেল এর গতিরোধ করে। একপর্যায়ে তারা ইমনকে উপর্যুপুরি ছুরিকাঘাত করে এবং ইমনের সাথে থাকা মোটর সাইকেল নিয়ে আব্দুল্লাহ খান পালিয়ে যায়। পথচারীরা গুরুতর আহত ইমনকে উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে তার অবস্থার অবনতি হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে স্থানান্তর করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত তিনটার দিকে ইমনের মৃত্যু হয়।

উল্লেখ্য যে, ইমন মৃত্যু পূর্ববর্তী সময়ে তাকে ছুরিকাঘাত করার বিষয়ে আব্দুল্লাহ খানসহ কয়েকজনের নাম উল্লেখ করে। এই হত্যাকান্ডটি সারাদেশে খুব আলোচনার জন্ম দেয় এবং দেশের শীর্ষস্থানীয় বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়াসহ স্থানীয় পত্রিকায় খবরটি প্রকাশিত হয়। পরবর্তীতে গত ২৪ জুলাই ২০২২ ইং তারিখ রাত ০০.১৫ ঘটিকার সময় নিহত ভিকটিমের পিতা বাদী হয়ে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা* দায়ের করেন, যার মামলা নং-৫৫/৪৮১।

এই হত্যাকান্ডের বিষয়টি অবগত হওয়ার সাথে সাথে এই ঘটনার সাথে জড়িত আসামীদের গ্রেফতারের জন্য র‌্যাব গোয়েন্দা তৎপরতা শুরু করে। গোয়েন্দা তৎপরতা এবং বিভিন্ন মাধ্যম ব্যবহারের মাধ্যমে মামলার ২৪ ঘন্টার মধ্যে ২৪/০৭/২০২২ ইং তারিখ আনুমানিক ভোর ০৫.৩০ ঘটিকার সময় টেকনাফের কচুবনিয়া এলাকা থেকে উক্ত হত্যাকান্ডের এজাহারভুক্ত প্রধান আসামী আব্দুল খান @ আব্দুল্লাহ খান (২৭), পিতা-খাইরুল আহমদ, সাং-পেশকারপাড়া, ০৪ নং ওয়ার্ড, কক্সবাজার পৌরসভা, থানা-কক্সবাজার সদর, জেলা-কক্সবাজারকে গ্রেফতার করা হয় এবং তার নিকট থেকে ভিকটিম ইমনের ব্যবহৃত মোটর সাইকেল উদ্ধার করা হয়।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত আসামী আব্দুল্লাহ খান উক্ত হত্যাকান্ডে তার জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকার করে এবং জানায় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে সে এই হত্যাকান্ডটি সংঘটিত করে। সে জানায়, কক্সবাজার শহরে ভিকটিম ইমন হাসান মাওলার পিতার একটি দোকান রয়েছে। গত কয়েক মাস আগে সেই দোকানে ইমনের পিতার সাথে আব্দুল্লাহ খান ও তার সহযোগীদের বাগবিতন্ডা হয়েছিল। এই বাগবিতন্ডার জের ধরে ভিকটিম ইমন ও তার সহযোগীদের সাথে আব্দুল্লাহ খান ও তার সহযোগীদের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে। এই মারামারির ঘটনার প্রেক্ষিতে আব্দুল্লাহ খান এর পরিবার ইমন ও তার সহযোগীদের নামে মামলা করে, যার কক্সবাজার সদর থানার এফআইআর নং-৪১/৬৭৯, তারিখ-১৭ নভেম্বর ২০২১ খ্রিঃ। উল্লেখিত মারামারির ঘটনার প্রতিশোধ নিতে আব্দুল্লাহ খান সুযোগ খুঁজতে থাকে এবং পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী গত ২১ জুলাই রাতে সে উক্ত হত্যাকান্ড সংঘটিত করে। সে আরো জানায়, উক্ত হত্যাকান্ডে আব্দুল্লাহ খান এবং তার সহযোগীরা ০১ টি চাপাতি ও ০১ টি ছুরি ব্যবহার করে। উল্লেখ্য যে, হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত ছুরি এবং চাপাতিটি ইমনকে হত্যা করার উদ্দেশ্যে গত ০২/০৩ মাস পূর্বে আব্দুল্লাহ খান ও তার অন্য এক সহযোগী তাদের নিজ হেফাজতে সংগ্রহ করে রেখেছিল।গ্রে

গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন আছে বলে জানান র‍্যাব ১৫।

Related Articles

Back to top button