সম্পাদকীয়

ইসলামপুরে ঢুকেছে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জের ৩ শতাধিক লবণবাহী ট্রাক

নিজস্ব প্রতিবেদক
গত তিনদিনে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জের ৩ শতাধিক লবণবাহি ট্রাক ঢুকেছে শিল্প নগরী ইসলামপুরে। সেখানে বিসিকের খাতায় নিবন্ধিত আছে ২৬৭ টি। নির্দেশনা মতে এসব ট্রাকে সঠিক মাত্রায় জীবাণু নাশক স্প্রে করা হয়েছে কিনা সন্দেহ স্থানীয়দের। তবে, এখানে স্থানীয়দের যে বিষয়টি ভাবিয়ে তুলেছে তা হলো- স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে দৈনিক এত ট্রাক আসতো না। করোনা আতংকের মাঝেও এতগুলো লবণবাহি ট্রাক কেন আসছে; এত লবণ কোথায় যাচ্ছে, তা প্রশ্নের দাবি রাখে।
অনেকের মতে, কক্সবাজারে লবণের দাম কম হওয়ায় নারায়নগঞ্জ-ঢাকাকেন্দ্রিক মজুদ গড়ে তুলছে ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট। তাই স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে যে ট্রাক ২৫-৩০ হাজার টাকা দিয়ে পাওয়া যেত, সেই ট্রাক ৪৫ টাকার চেয়ে বেশি ভাড়া দিয়েও লবণ নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। বিসিকের হিসেব অনুযায়ী, প্রতি ট্রাকে গড়ে ১৪ মে.টন করে অন্তত ৩৭২৪ মে.টন লবণ (ক্রাশ করা) সরবরাহ করা হয়েছে। যেখানে অধিকাংশ শিল্প লবণ। ইসলামপুরে প্রতি কেজি লবণের দাম পড?ছে প্রায় সাড়ে ৬ টাকা।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছে, প্রতি ট্রাকে চালক-হেলপারসহ অন্তত ৩ জন করে লোক আসে। তারা বটতলী স্টেশনে আসার পরেই জীবাণুনাশক স্প্রে ও গোসল করার কথা থাকলেও কেউ মানে না। দোকানপাটে বসে আড্ডা জমায়। জীবাণু নাশক স্প্রে ছাড়া কোন ট্রাক লবণ পরিবহণে না ঢুকানোর কথা থাকলেও সঠিক মাত্রায় স্প্রে করা হয় না। যেনতেনভাবে ঢুকে যাচ্ছে ইসলামপুরে। তাছাড়া কক্সবাজারের বাইর থেকে আসা ট্রাক চালকেরা ইসলামপুর প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও তার কার্যকারিতা নেই। তবে লবণ মিল মালিকদের দাবি, স্থানীয় ট্রাক চালক সংকটে পড়ে বাধ্য হয়ে অনেক সময় একই চালক ব্যবহার করতে হয়। তবে তারা সতর্ক।

বিসিক কক্সবাজারের উপমহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) মুহাম্মদ হাফিজুর রহমান জানান, গত ১৮ এপ্রিল ৯৬টি, ১৯ এপ্রিল ৭৮ টি এবং ২০ এপ্রিল ৯২টি লবণবাহি ট্রাক ঢুকেছে। যেগুলো তাদের নির্ধারিত বহিতে লেখা হয়েছে। ইসলামপুরে বর্তমানে ৩২ টি মতো লবণ মিল চালু রয়েছে। প্রতি মিল মালিকদের সরকারি নির্দেশনা মতে হাইজেনিক ব্যবহারের কথা বলা হয়েছে। তিনি জানান, অধিকাংশ মিলে শ্রমিকদের মুখে মাস্ক, হাতে গ্লাভস নেই। মানা হয় না সরকারি আদেশ। বিষয়টি জেলা প্রশাসনকে জানানো হয়েছে।

Related Articles

Back to top button