নিজস্ব প্রতিবেদক
নাফ নদী পার হয়ে মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ কালে নারী-পুরুষ ও শিশু সহ ২১ জন মিয়ানমারের নাগরিককে আটক করেছে বিজিবির সদস্যরা। পরে তাদেরকে পুশব্যাক করা হয়েছে বলে জানা গেছে। সোমবার (১১ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় নাফনদী সংলগ্ন টেকনাফের বড়ইতলী নামক স্থান থেকে তাদের আটক করা হয়। আটককৃতরা হলেন-মো. আনোয়ার খান (২৭), মো. হাফিজ আনোয়ার (২০), মোঃ জিয়াবুর রহমান (৪২), মো. ইউনুস (৩৪), জিয়াউর রহমান (১৯), মো. হারুন (৫০), মো. আনোয়ার (২৫), মোসাঃ খতিজা (২০), মমতাজ বেগম (৪০), মোসাঃ দৌলো (৫৫), নুর হাফেজ (১৯), দিল বাহার (৭২), মোসাঃ সায়েরা (৪০), সেতারা (১৩), মোসাঃ সামিরা (১৬), মোসা. খালেদা (১৮), ইছাড়া (০২), মোসাঃ মুসতাকিমা (১২), মো. সাহেত আলম (০৫), রমজান আলী (০৮), মো. সাহেদ (০৪) তারা সবাই মিয়ানমার আরকান রাজ্য মংড়ু থানার বিভিন্ন গ্রামের বাসিন্দা বলে আটককৃতরা জানায়।
সূত্রে জানা যায়, সোমবার সন্ধ্যায় একটি হস্তচালিত কাঠের নৌকা করে মিয়ানমার থেকে নারী-পুরুষ ও শিশুসহ ২১ জন মিয়ানমারের নাগরিক নাফনদী পার হয়ে বড়ইতলী নামক স্থান দিয়ে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করছিল। এ সময় দায়িত্বরত বিজিবির টহলদল তাদেরকে আটক করেন। আটকের মধ্যে ৭ জন পুরুষ, ৯ জন নারী ও ৫ জন শিশু রয়েছেন। পরবর্তীতে বিজিবির সদস্যরা তাদেরকে টেকনাফের হোয়াইক্যং বিওপির দায়িত্বপূর্ণ এলাকার নাফনদী দিয়ে তাদেরকে মিয়ানমারের পুশব্যাক করা হয় বলে জানা যায়।
আরো জানা যায়, সু-চিকিৎসার জন্য তারা বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করছিল।
এ ব্যাপারে টেকনাফ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ জোবাইর সৈয়দ জানান, সোমবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের সময় নারী-পুরুষ ও শিশুসহ মিয়ানমারের ২১ জন নাগরিককে বড়ইতলী নামক স্থান থেকে আটক করেছে বিজিবির সদস্যরা। এ সময় আটককৃতরা জানায় তারা সবাই মিয়ানমার আরকান রাজ্য মংডু এলাকার বাসিন্দা। তারা সবাই সু-চিকিৎসার জন্য বাংলাদেশ আসছিল বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। পরবর্তীতে তাদেরকে স্বদেশে পুশব্যাক করা হয়েছে বলে তিনি জানায়।