নিজস্ব প্রতিবেদক
ঝক ঝক ঝক ট্রেন চলেছে
রাত দুপুরে অই।
ট্রেন চলেছে, ট্রেন চলেছে
ট্রেনের বাড়ি কই ?
একটু জিরোয়, ফের ছুটে যায়
মাঠ পেরুলেই বন।
পুলের ওপর বাজনা বাজে
ঝন ঝনাঝন ঝন।
থামবে হঠাৎ মজার গাড়ি
একটু কেশে খক।
আমায় নিয়ে ছুটবে আবার
ঝক ঝকাঝক ঝক।
কবি শামসুর রহমানের ‘ট্রেন’ কবিতা পড়েছিল ৮ বছরের শিশু সায়েম। এবার বাবার হাত ধরে ট্রেনের ‘বাড়িতেই’ এসে পৌঁছেছে সে। পর্যটন শহর কক্সবাজারের আইকনিক রেল স্টেশনে সকাল থেকে অপেক্ষা করছে ট্রেন দেখবে বলে।
রবিবার সকালে কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে চট্টগ্রাম ছেড়ে এসেছে প্রথম ট্রেন। কিছুক্ষণের মধ্যেই স্টেশনে পৌঁছবে ট্রেনটি।
সায়েমের বাবা মির্জা তারেক বলেন, কক্সবাজারে ট্রেন আসবে এটি শোনার পর ট্রেন দেখার বায়না ধরে বসে সায়েম। তাই তাকে নিয়ে রেল স্টেশনে এসেছি।
সায়েমের বাবা মির্জা তারেক বলেন, কক্সবাজারে ট্রেন আসবে এটি শোনার পর ট্রেন দেখার বায়না ধরে বসে সায়েম। তাই তাকে নিয়ে রেল স্টেশনে এসেছি।
এদিকে দুপুর গড়াতেই কক্সবাজার শহরের সরকারি কলেজের বিপরীত পাশে ঝিলংজা এলাকায় অবস্থিত আইকনিক রেল স্টেশনে মানুষের ভিড় বাড়তে থাকে। সবার একটি উদ্দেশ্য, প্রথমবার ট্রেন দেখা।
জানা গেছে, ট্রেনের প্রকৌশলীরা রেল লাইন পরীক্ষা নিরীক্ষার জন্য বিভিন্ন জায়গায় ট্রেন থামিয়েছে। তাই কক্সবাজারে ট্রেন পৌঁছাতে একটু বেশিই সময় নিচ্ছে।
শহীদ নামের একজন কলেজ ছাত্র বলেন, কক্সবাজারে রেল আসবে, এটি সবার স্বপ্ন ছিল। আজকে সেই স্বপ্ন প্রাতিষ্ঠানিক রূপ নিয়েছে। এই রেলপথ চালুর মাধ্যমে পর্যটন নগরী কক্সবাজারে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।
তানিয়া ও সাহিদা নামের দুই গৃহবধু বলেন, কক্সবাজার ট্রেন আসবে এবং তারা সেটি দেখতে পাবে তা কখনোই ভাবেনি। ট্রেন আসছে সেই খবর পেয়ে পরিবার নিয়ে ছুঁটে এসেছেন কক্সবাজারে।
এদিকে এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কক্সবাজার স্টেশনে ট্রেন আসেনি। তবে উৎসুক জনতার ড়িড় ভেড়েছে। সবাই অধীর আগ্রহে, কখন ট্রেন পৌঁছাবে। জানা গেছে- ট্রেন ঈদগাহ থেকে কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে ছেড়ে দিয়েছে। কিছুক্ষণের মধ্যেই কক্সবাজার স্টেশনে পৌঁছাবে সবার স্বপ্নের ট্রেন।
আগামী ১১ নভেম্বর কক্সবাজার-ঢাকা রেল লাইন উদ্বোধন করবেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।