কক্সবাজারফিচার

কক্সবাজারবাসীকে ছাত্রলীগ সভাপতি এস এম সাদ্দাম হোসাইনের ঈদ শুভেচ্ছা।

বিত্তের প্রতিযোগিতা নয়,বৈভবের প্রদর্শনী নয়,ত্যাগের মহিমায় উদ্ভাসিত হয়ে ধর্মীয় ভাব-গাম্ভীর্য বজায় রেখে কোরবানি করাই আসল কোরবানি।

লোভ-লালসা, অতিভোগ, দ্রুত অবৈধভাবে ধনী হওয়ার জন্য দুর্নীতি অনেক মানুষকে আজ মানুষের মহত্তম আসন থেকে পশুরও অধম অবস্থানে নামিয়ে এনেছে। আল্লাহ্ ভীতি, আত্মমর্যাদা, প্রজ্ঞা, মানুষের প্রতি মমতা-ভালোবাসা, ত্যাগের মানসিকতা ও মানবিক মূল্যবোধ আজ বড় প্রয়োজন। এ বছরের ঈদুল আজহা মানুষের ভেতরের পশুত্বকে দমিয়ে মনুষ্যত্বকে জাগিয়ে তুলুক।

ঈদুল আজহার অন্যতম বিষয় পশু কোরবানি। কোরবানি একটি ইবাদত। ইসলামের সকল ইবাদত ও বিধানই মানুষের জন্য কল্যাণকর। এই কল্যাণ জাগতিক এবং পরকালীন।

এবারের ঈদ এসেছে ভিন্ন প্রেক্ষাপটে। এমনিতেই করোনা ভাইরাসজনিত প্রাণঘাতী মহামারীর দাপটে বিপর্যস্ত মানুষ। এছাড়া বন্যার কারণে দেশের বিভিন্ন জেলায় হাজার অজশ্র মানুষ পানিবন্দি হয়ে দুর্বিসহ হয়ে পড়েছে। এমন পরিবেশে কোরবানি ও বাড়িতে যাতায়াতের ক্ষেত্রে খুব সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। নিজে সুস্থ থাকতে কাছের মানুষকে সুস্থ রাখতে কঠিনভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঈদ উৎসব পালন করতে হবে। ইসলামে পরিচ্ছন্নতার গুরুত্ব অপরিসীম। পশু কোরবানির পর পশুর বর্জ্য অপসারণে তৎপর থাকতে হবে। একই সঙ্গে কক্সবাজার জেলাবাসীর প্রতি অনুরোধ থাকবে, সকলেই যেন পশু কোরবানি দেওয়ার ক্ষেত্রে পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখতে সচেষ্ট হন। প্রতিটি পাড়া-মহল্লার মানুষ নিজ নিজ দায়িত্বে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজে উদ্যোগী হলে পৌরসভার কাজ অনেকটাই সহজ হতে পারে। ঈদের পবিত্রতা সব ক্ষেত্রেই বজায় রাখা প্রয়োজন। স্বাস্থ্যবিধি মেনে সবার ঈদযাত্রা স্বাচ্ছন্দ ও নিরাপদ হোক। আমাদের মনে রাখতে হবে ঈদের শিক্ষা হলো সাম্য, ভ্রাতৃত্ব ও একাত্মবোধের মাধ্যমে আনন্দ উপভোগ এবং পারস্পরিক সাহায্য-সহযোগিতার সম্প্রসারণ। আমরা আশা করব, দেশের এমন দুর্যোগে সমাজের বিত্তবানরা এগিয়ে আসবেন। ঈদ আমাদের সামষ্টিক জীবনে যে মিলন ও শুভবোধচর্চার দৃষ্টান্ত স্থাপন করে, তা সঞ্চারিত হোক সবার প্রতিদিনের জীবনযাপনে। এ সংকট কেটে যাক। মঙ্গলময় হোক ভবিষ্যৎ। ঈদুল আজহার এই আনন্দময় উৎসবে কক্সবাজার জেলা তথা গোটা দেশবাসীকে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ,কক্সবাজার জেলা শাখার পক্ষ থেকে জানাই শুভেচ্ছা। ঈদ মোবারক।

Related Articles

Back to top button