ফিচারস্বাস্থ্য

কক্সবাজারে হঠাৎ মারাত্মক ম্যালেরিয়া রোগী বেড়ে যাওয়া ও একজনের মৃত্যু-ডা. শাহজাহান নাজির।

কক্সবাজারে হঠাৎ মারাত্মক ম্যালেরিয়া রোগী বেড়ে যাওয়া ও একজনের মৃত্যু।

ডা. মোহাম্মদ শাহজাহান নাজির

সহকারী অধ্যাপক, সংক্রামক রোগ ও ট্রপিক্যাল মেডিসিন, কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ।

আগামী ২০৩০ এর মধ্যে বাংলাদেশ ম্যালেরিয়া নির্মুলের লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছিল। এই জন্য ১৩ টি ম্যালেরিয়া প্রবণ জেলার ১০ টির মধ্যে বিগত ৫ বছর সে রকম কোন রোগী পাওয়া যায় না। ২০২১ এর জুনে কক্সবাজারে ম্যালেরিয়া রোগী ছিল মাত্র ৬ জন। কিন্তু এই বছর বিগত এক মাসে রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ২৪ জন। যার মধ্যে কক্সবাজারে সদরের ইসলাম পুর ইউনিয়নের একজন ৭০ বছরের বয়স্ক ভদ্রলোক মারা যান গত ৩/৭/২২ এ। ভদ্রলোকের বাড়ি ইসলাম পুর হলেও তিনি বিগত কয়েক বছর ধরে নাইক্ষনছড়ির বাইশারীতে থাকতেন।

এই ২৪ জনের মধ্যে ৪ জন শিশু এবং ২০ জন প্রাপ্ত বয়স্ক। আবার এদের মধ্যে ১১ জন বাংলাদেশী ও ১৩ জন রোহিঙ্গা। অধিকাংশই মারাত্মক জটিলতা নিয়ে সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল। জটিলতা বিহীন রোগীর সংখ্যা মাত্র ৪ জন। আগের বছর গুলো তে অল্প কিছু যে রোগী পাওয়া যেত অধিকাংশই জটিলতাবিহীন ছিল। এই বছর ব্যতিক্রম। অধিকাংশ রোগীর বয়স ২০-৩০ এর মধ্যে। কক্সবাজারে স্থানীয় রোগীর মধ্যে অধিকাংশই রামু উপজেলার আর রোহিঙ্গাদের মধ্যে অধিকাংশই ক্যাম্প ১৮-২৫ এর। অধিকাংশই বর্তমানে কোন মশারী ব্যবহার করে না। রোগীদের পেশার মধ্যে রাজমিস্ত্রী, জুম চাষী, কাঠুরে এবং দিন মজুরের সংখ্যায় বেশী। রোহিঙ্গারা ও ক্যাম্প থেকে বেরিয়ে রাজমিস্ত্রী, নাইক্ষংছড়ির বনে যাওয়ার ইতিহাস দিচ্ছেন।
মারাত্মক জটিল ম্যালেরিয়া সাধারণত লিভার, কিডনি ও ব্রেইন অকেজো করে দেয়। কিছু কিছু রোগীর ক্ষেত্রে ম্যালেরিয়া মেডিসিন দেওয়ার পরেও জীবাণু রয়ে যাচ্ছে। ঈদে অনেকেই শহর থেকে গ্রামের আসবেন ঈদের ছুটি কাটাতে। যথাযথ স্বাস্থ্য বিধি মেনে ও মশারী ব্যবহার জরুরী।

Related Articles

Back to top button