আইন-আদালতকক্সবাজারকক্সবাজার সদর

চাঁদার দাবিতে ঝাউতলায় নাশকতা মামলার আসামীদের নেতৃত্বে সন্ত্রাসী হামলাঃ আহত ১

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

কক্সবাজার পৌর শহরের ১১নং ওয়ার্ড সংলগ্ন ঝাউতলাস্থ গাড়ির মাঠ এলাকায় চাঁদার দাবিতে সন্ত্রাসী হামলার অভিযোগ উঠেছে। গত ০৪ ডিসেম্বর রাত ৯ টা ৩০ মিনিটের সময় ঝাউতলাস্থ মসজিদ রোড এলাকায় ঝাউতলা বোর্ডিং এর সামনে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটে।
এসময় মোজাহের আহমেদ দুদু নামের এক ব্যক্তি গুরুতর আহত হন।

এঘটনায় কক্সবাজার সদর মডেল থানায় ৩ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা ৪/৫ জনকে আসামি করে এজাহার দায়ের করেন হামলায় আহত মোজাহের আহমেদ দুদু (৫০)। আসামীরা হলেন ১১ নং ওয়ার্ডের ঝাউতলা গাড়ির মাঠ এলাকার ইউসুফ আলীর পুত্র যথাক্রমে ১। সজিব আলী, ২। শরীফ আলী ও ৩। জরিপ আলী।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এজাহারে উল্লেখিত আসামিগণ প্রতিনিয়ত দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। এমনকি কক্সবাজার শহরে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনার জন্য তৈরি করেছে একটি শক্তিশালী সন্ত্রাসী সিন্ডিকেট। তিন ভাই ছাড়া এই সিন্ডিকেটে রয়েছে অন্তত ২৫-৩০ জন। এদের অনেকেই সন্ত্রাসী ও মাদক কারবারির সাথে সরাসরি জড়িত।

খোঁজ নিয়ে আরো জানা যায়, এজাহারে উল্লেখিত আসামীদের বিরুদ্ধে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় বিএনপি জামাতের দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে নাশকতা, জ্বালাও পোড়াও ও ভাংচুর মামলাসহ বেশ কয়েকটি মামলা চলমান রয়েছে। যার মধ্যে সদর মডেল থানার এফ আই আর ৮৪/২০১২ ও ৭২/১০৯০, ২০১৮ মামলা চলমান।

হামলায় আহত মোজাহের আহমেদ দুদু জানান, ঘটনার দিন আমি ও আমরা কক্সবাজার ওয়ার্কশপ মালিক সমিতির লোকজন সমিতির অভ্যন্তরীণ বিষয়ে একটি বিচার শালিষের বৈঠকে ছিলাম। অতর্কিত অবস্থায় উল্লেখিত আসামিগণ এসে সমিতির অফিস করতে দিবে না মর্মে হুমকি প্রদান করে। একপর্যায়ে ২ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদা না দিলে সমিতির অফিস ভাংচুর ও প্রাণনাশের হুমকি দেয়। এসব কথা বলতে বলতে মুহূর্তেই সন্ত্রাসীরা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রসহ দলবল নিয়ে আমাকে এলোপাথাড়ি জখম করে। স্থানীয়দের সহায়তায় আমি অল্পের জন্য বেঁচে যাই। এই ঘটনায় সদর মডেল থানায় চিহ্নিত আসামিদের নাম উল্লেখ করে এজাহার দায়ের করেছি এবং সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি।

কক্সবাজার সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রফিকুল ইসলাম বলেন, তদন্ত সাপেক্ষে আসামীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Related Articles

Back to top button