আন্তর্জাতিক

পদত্যাগ করছেন বরিস জনসন

ডেস্ক রিপোর্টঃ

অবশেষে পদত্যাগ করতে যাচ্ছেন বরিস জনসন। তার নেতৃত্বাধীন সরকার থেকে একের পর এক মন্ত্রী ও সরকার বিষয়ক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার পদত্যাগের পর তিনি এই সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছেন।

বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টির নেতৃত্ব থেকে আজই তিনি সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেবেন। তবে আগামী শরৎকাল পর্যন্ত তিনি প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব চালিয়ে যেতে চান।

পদত্যাগের বিষয়ে জনসন কনজারভেটিভ ব্যাকবেঞ্চ ১৯২২ কমিটির চেয়ারম্যান স্যার গ্রাহাম ব্র্যাডির সাথে কথা বলেছেন। তিনি পদত্যাগ করছেন যাতে পার্টি সম্মেলনের জন্য সময় মতো নতুন নেতা বেছে নেওয়া যায়।

এর আগে গত ৬ জুন বরিস জনসনের বিরুদ্ধে অনাস্থা ভোট আয়োজন করে কনজারভেটিভ পার্টির সদস্যরা।

বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী বরিসের নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলে মঙ্গলবার ১০ মিনিটের ব্যবধানে অর্থমন্ত্রী ঋষি সুনাক ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী সাজিদ জাভিদ পদত্যাগ করেন।

তাদের অনুসরণ করে পদত্যাগের ঘোষণা দেন জুনিয়র পরিবহনমন্ত্রী লরা ট্রট, জুনিয়র শিশু ও পরিবারবিষয়ক মন্ত্রী উইল কুইন্স, জুনিয়র স্কুল উন্নয়নবিষয়ক মন্ত্রী রবিন ওয়াকার।

পরে এক চিঠিতেই আরো পাচ জুনিয়র মন্ত্রী পদত্যাগের ঘোষণা দেন। তারা হলেন জুলিয়া লোপেজ, লি রাউলি, অ্যালেক্স বুরগার্ট, কেমি বেদেনোচ ও নেইল ওব্রায়েন।

পরে কর্মসংস্থানবিষয়ক জুনিয়র মন্ত্রী মিমস ডেভিসও পদত্যাগের ঘোষণা দেন।

৫ জুন বরিস বিবিসিকে একটি সাক্ষাৎকার দেন। এর কয়েক মিনিট পরই রাজনৈতিক নাটকীয়তা শুরু হয়।

সাক্ষাৎকারে বরিস স্বীকার করেন, ক্রিস পিনচারের অসদাচরণের অভিযোগের বিষয়টি তার জানা ছিল। তারপরেও চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে তাকে ডেপুটি চিফ হুইপ করেন তিনি। এটি ছিল তার একটা ‘বাজে ভুল’।

বরিসের এই স্বীকারোক্তি তাকে চাপে ফেলে। প্রধানমন্ত্রী বরিসের নেতৃত্ব ও তার সরকারের কর্মকাণ্ড নিয়ে কনজারভেটিভ এমপিরা প্রশ্ন তোলেন।

Related Articles

Back to top button