বিনোদন

ফেসবুকে প্রেম, শিক্ষিকাকে বিয়ে করলেন কলেজছাত্র

বিশেষ প্রতিবেদকঃ

ভালোবাসা মানে না কোনো বাধা। তার বাস্তব উদাহরণ মামুন (২২) ও খাইরুন নাহার (৪০) দম্পতি। ছয় মাস প্রেমের পর বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন তারা। নাটোরের গুরুদাসপুরে তাদের বাড়ি। তবে বর্তমানে তারা নাটোর শহরের একটি ভাড়া বাড়িতে বসবাস করছেন।

গুরুদাসপুর উপজেলার খুবজীপুর এম হক ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক খাইরুন নাহার। প্রথমে বিয়ে হয়েছিল রাজশাহীর বাঘায়। সেখানে তার এক সন্তানও রয়েছে। তবে পারিবারিক কলহে সে সংসার বেশি দিন টিকেনি। তারপর কেটে যায় অনেক দিন। এরই মাঝে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পরিচয় হয় ২২ বছরের যুবক মামুনের সঙ্গে। মামুনের বাড়ি একই উপজেলার ধারাবারিষা ইউনিয়নের পাটপাড়া গ্রামে। তিনি নাটোর এনএস সরকারি কলেজের ডিগ্রি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র।

খাইরুন নাহার বলেন, প্রথম স্বামীর সাথে বিচ্ছেদ হওয়ার পর মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলাম। প্রতিটা দিন প্রতিটা মুহূর্ত মানসিক কষ্টে কাটত। একবার আত্মহত্যা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। ঠিক সেই সময় ফেসবুকে পরিচয় হয় মামুনের সাথে। মামুন আমার খারাপ সময় পাশে থেকে উৎসাহ দিয়েছে এবং নতুন করে বেঁচে থাকার স্বপ্ন দেখিয়েছে। মামুন মন-প্রাণ দিয়ে ভালবাসে আমাকে। আর সেই ভালবাসা থেকেই দুজনের সিদ্ধান্তে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হই। আমাদের বিয়ে মামুনের পরিবার মেনে নিলেও আমার পরিবার থেকে মেনে নেয়নি। সামাজিকভাবে বিভিন্ন মহলে নানা কুৎসিত মন্তব্য থাকলেও তোয়াক্কা না করে নতুন সংসারে সুখেই দিন কাটাচ্ছি। আজীবন মামুনের সাথে সংসার করে যেতে সকলের দোয়া ও সহযোগিতা চেয়েছেন এই দম্পতি।

মামুন হোসেন বলেন, মানুষের মন্তব্য কখনও গন্তব্য ঠেকাতে পারে না। কে কি বলল- সেগুলো মাথায় না নিয়ে নিজেদের মত সংসার গুছিয়ে নিয়ে জীবন শুরু করেছি। দাম্পত্য জীবনের সকলের দোয়া চাই।

Related Articles

Back to top button