আইন-আদালতজাতীয়

ম্যাসেজ জালিয়াতি করে অর্থ আত্মসাতকারী ডাক বিভাগের ৩ কর্মকর্তার ১৯ বছরের কারাদণ্ড

ডেস্ক রিপোর্টঃ

নোয়াখালীতে ডাক বিভাগের তিন কর্মকর্তাকে ১৯ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। একই সঙ্গে দুই আসামিকে ৩৬ লাখ টাকা করে অর্থদণ্ডও করা হয়েছে। দণ্ডপ্রাপ্তরা হলো, নোয়াখালীর প্রধান ডাকঘরের কাউন্টার অপারেটর রীনা রানী মজুমদার, সহকারী পোস্টমাস্টার মো. মুনির চৌধুরী শহিদ ও ডিপিএমজি কার্যালয়ের পোস্টাল অপারেটর আনোয়ার হোসেন।

বুধবার (৮ জুন) দুপুর সোয়া ১টার দিকে নোয়াখালী জেলা বিশেষ জজ আদালতের বিচারক এএনএম মোরশেদ খান এ রায় প্রদান করেন।

জেলা দুদক সূত্রে জানা যায়, নোয়াখালীর প্রধান ডাকঘরে কর্মরত থাকাকালীন ৭ কর্ম দিবসে ৫৪ টি ইলেকট্রনিকস মানি অর্ডার (ইএমও) ম্যাসেজ জালিয়াতির মাধ্যমে ২৬ লাখ ৩০ হাজার টাকা আত্মসাতের দায়ে তিন আসামিকে পৃথক পৃথক ধারায় এ দণ্ড দেয়া হয়েছে। আসামি মুনির চৌধুরী শহিদের উপস্থিতিতে রায় ঘোষণা করা হয়। অপর দুই আসামি পলাতক রয়েছে।

রায়ে আসামি রীনা রানী মজুমদার ও আনোয়ার হোসেনকে বিভিন্ন ধারায় ৭ বছর করে ১৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ১৮ লক্ষ টাকা করে অর্থদণ্ড দেয়া হয়েছে এবং মুনির চৌধুরী শহিদকে ৫ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ২ লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড করা হয়েছে।

শাস্তির বিষয়টি নিশ্চিত করে জেলা দুদকের পিপি অ্যাডভোকেট আবুল কাশেম বলেন, দুপুর সোয়া ১টার দিকে মামলার শুনানি শেষে বিচারক এএনএম মোরশেদ খান অভিযুক্ত আসামিদের বিভিন্ন ধারায় মোট ১৯ বছরের কারাদণ্ড ও ৩৮ লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড দেন। দণ্ডপ্রাপ্ত মুনির চৌধুরী শহিদের রায় ঘোষণা শেষে পুনরায় কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

পিপি আরও জানিয়েছেন, দণ্ডপ্রাপ্তরা নোয়াখালীর প্রধান ডাকবিভাগে কর্মরত অবস্থায় ২০১৩ সালের ১৩ জুন থেকে ৩ অক্টোবর পর্যন্ত মোট ৭ কর্মদিবসে নিজেদের মধ্যে যোগসাজশের মাধ্যমে ৫৪টি ইলেকট্রনিকস মানি অর্ডার (ইএমও) ম্যাসেজ জালিয়াতির মাধ্যমে ২৬ লাখ ৩০ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেন। এ ঘটনায় ওই বছরের ১৩ অক্টোবর সুধারাম মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন পোস্ট মাস্টার এস.এম.সহিদ উল্যাহ। পরে মামলাটি অধিকতর তদন্তের জন্য থানা থেকে দুদকের প্রধান কার্যালয়ের তৎকালীন উপ-পরিচালক নাছির উদ্দিনকে দায়িত্ব দেয়া হয়। তদন্ত শেষে আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন এ দুদক কর্মকর্তা।

Related Articles

Back to top button