ডেস্ক নিউজ
আগামী বছর ২০২৪ সালের জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আনিছুর রহমান। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে শনিবার নির্বাচনি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে প্রশিক্ষকদের প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। এদিন সকালে এই প্রশিক্ষণ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল। প্রতি ব্যাচে শতাধিক প্রশিক্ষক নিয়ে তিন হাজার ২০০ জনকে প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। ইসির প্রশিক্ষিতরা মাঠ পর্যায়ের প্রায় ১০ লাখ ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাকে প্রশিক্ষণ দেবেন।
অনুষ্ঠানে ইসি আনিছুর রহমান বলেন, আগামী বছরের জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তবে ঠিক কত তারিখে ভোট নেয়া হবে সেই তারিখ এখনও চূড়ান্ত হয়নি। আইনে প্রিজাইডিং অফিসারের ভোট বন্ধ করারও ক্ষমতা দেয়া আছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রিজাইডিং অফিসারের ক্ষমতা সবচেয়ে বেশি ভোটের দিনে। না জানার কারণে অনেকে বিষয়টা জানেন না। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলেও করণীয় আছে। সে সময় ম্যাজিস্ট্রেসি পাওয়ার দেয়া থাকে, তাও কাজে লাগানোর সুযোগ আছে।
নির্বাচন কমিশনার বেগম রাশেদা সুলতানা বলেন, আপনারা আইনকানুনগুলো ভালো করে দেখে নেবেন, পড়ে নেবেন। নির্বাচন যাতে প্রশ্নবিদ্ধ না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখবেন। সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করবেন। অনুষ্ঠানে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, জনগণ সত্যিকার অর্থে স্বাধীনভাবে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারলে সেটি মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে। তিনি বলেন, একটি অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন সম্পন্ন করতে পারলে আমাদের সার্থকতা। নির্বাচন কোনো সহজ কাজ নয়। অনেক দেশে নির্বাচন নিয়ে হা-হুতাশ করতে হয় না। যেখানে নির্বাচনগুলো খুব শান্তিপূর্ণভাবে হয়ে যায়। ওরা গণতন্ত্রের একটা বিশেষ অবস্থানে গিয়ে স্থিতু হয়েছে। সিইসি বলেন, ভোট সুষ্ঠু করার জন্য আইনে প্রিজাইডিং অফিসারদের ক্ষমতা বৃদ্ধি করা হয়েছে। ভোটকে বিশ্বাসযোগ্য করার জন্য শুধু সুষ্ঠু নয়, অংশগ্রহণমূলক ভোট হতে হবে।