কক্সবাজারকক্সবাজার সদরসারাদেশ
Trending

পর্যটকদের নিরাপত্তার জন্য সিসি ক্যামেরার আওতায় নেওয়া হচ্ছে কক্সবাজার শহর

নিজস্ব প্রতিবেদক
কক্সবাজার শহরের হোটেল-মোটেল জোন। এই এলাকাটি মাঝেমধ্যেই আলোচনায় আসে খুন, ছিনতাই, ধর্ষন, মাদকের কারবার, পতিতাবৃত্তিসহ নানা অপরাধের কারনে। এছাড়া পর্যটন শহরের বিভিন্ন স্থানে প্রায় সময় ছিনতাইয়ের শিকার হন পর্যটক ও সাধারণ নাগরিকরা। এমন প্রেক্ষাপটে সিসিটিভি স্থাপনসহ পুরো পর্যটন শহরকে নিরাপত্তার চাদরে ঢাকার উদ্যোগ নিয়েছে প্রশাসন। এর অংশ হিসেবে হোটেল মোটেগুলোর প্রবেশ পথ ও বের হওয়ার পথ সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে তদারকি করা হবে। জাতীয় পরিচয়পত্র যাছাই ছাড়া কাউকে কক্ষ ভাড়া না দেওয়ার জন্য হোটেল মালিকদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সোমবার দুপুরে কক্সবাজারে পর্যটন খাতের সাথে জড়িতদের সাথে মতবিনিময়কালে এ নির্দেশনা দেয় ট্যুরিস্ট পুলিশ। হোটেল-মোটেল বাড়তি ভাড়া নিলে নেওয়া হবে কঠোর ব্যবস্থা হবে বলে জানান ট্যুরিস্ট পুলিশের ডিআইজি আবুল কালাম সিদ্দিকী।
শহরজুড়ে বসানো হবে প্রায় ২০০ সিসিটিভি ক্যামেরা। এর মধ্যে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ বসাবে ১৫০টি। ইতোমধ্যে কক্সবাজার পৌরসভা ২৫টি স্থানে বসিয়েছে সিসিটিভি। এ মাসের মধ্যেই বসাবে আরো ৭৫ টি সিসিটিভি। যা তদারকি করা হবে জেলা পুলিশের নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে। প্রশাসনের এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে স্থানীয় সচেতন নাগরিক ও পর্যটন ব্যবসায়ীরা। এতে অপরাধ প্রবনতা অনেকাংশে কমবে বলে আশা তাদের।
মতবিনিময় সভায় পর্যটন জোনে দালালের দৌরাত্ম্য নিয়ন্ত্রণ, ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে অবৈধ হোটেল ব্যবসা বন্ধ, শহর সবসময় পরিচ্ছন্ন রাখা, টমটম চলাচল সীমিত করা ও পর্যটন স্থানগুলোতে বাড়তি নিরাপত্তা জোরদারের দাবি জানান স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। তারা বিদেশি পর্যটক আকর্ষনের জন্য রাত্রীকালীন বিনোদনের ব্যবস্থারও প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরেন।
এসময় অপরাধ নিয়ন্ত্রণ কাজ করার পাশাপাশি সকল পর্যটন স্থানে ট্যুরিস্ট পুলিশ মোতায়েনের আশ্বাস দেন ডিআইজি। পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকতসহ অপার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের টানের প্রতিবছর লাখো পর্যটক ছুটে আসে কক্সবাজার। তাদের আবাসন সুবিধার জন্য পর্যটন নগরীতে গড়ে তোলা হয়েছে পাঁচ শতাধিক হোটেল গেস্ট হাউস।

Related Articles

Back to top button