সম্পাদকীয়

কক্সবাজারে ফের ছাত্রলীগ নেতা খুন।

শহর প্রতিনিধিঃ

পূর্ব দ্বন্দ্বের জেরে কক্সবাজার শহরে প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে ইমন হাসান (১৮) নামের এক ওয়ার্ড ছাত্রলীগ নেতা নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টায় কক্সবাজার পৌরসভার বড় বাজারের ছালাম মার্কেটের সামনে ওই ঘটনা ঘটে।
নিহত ইমন সদর উপজেলার ঝিলংজা ইউনিয়নের পূর্ব মোক্তার কুলের বাসিন্দা ও  বড় বাজারের খরুলিয়া পলিথিন হাউসের মালিক মো. হাছানের ছেলে। তিনি ৪নং ওয়ার্ড ছাত্রীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছিলেন।

নিহতের পরিবার ও পুলিশ জানায়, বছর তিনেক আগে শহরের বইল্ল্যাপাড়ার বায়তুশ শরফ মসজিদের মাহফিল চলাকালীন সময় কথা কাটাকাটির জেরে পৌরসভার পেশকারপাড়ার আবদুল্লাহ খানকে ছুরিকাঘাত করে ইমন ও তার সঙ্গীরা। আর এই ঘটনার বদলা নিতেই বৃহস্পতিবার রাতে ইমনকে বাগে পেয়ে ছুরিকাঘাত করে আবদুল্লাহ ও তার কয়েকজন সঙ্গী।

নিহতের বাবা মো. হাছান বলেন, পূর্ব দ্বন্দ্বের জের ধরে আবদুল্লাহ ও তার সঙ্গীরা মিলে আমার ছেলেকে ছুরিকাঘাত করেছে। তিন বছর আগের ঘটনায় আবদুল্লাহর পরিবার মামলা করে। বিষয়টি সামাজিকভাবে তিন লাখ টাকায় মীমাংসা হয়। যার দুই লাখ টাকা ইতিমধ্যে আবদুল্লাহর পরিবারকে দেয়া হয়েছে। বাকি ১ লাখ টাকা আদালত থেকে মামলা নামিয়ে নিলেই দেয়ার সিদ্ধান্ত দেয় স্থানীয় মুরব্বিরা। সবকিছু সালিশকারদের সিদ্ধান্ত মতেই হচ্ছিল। মামলা মীমাংসা দিতে আদালতে আবেদনও করে মামলার বাদী। কিন্তু এরই মাঝে বৃহস্পতিবার রাতে আমার ছেলেকে ছুরিকাঘাত করা হয়।

তিনি বলেন, ছুরিকাঘাতের পর ইমন মারা গেছে ভেবে ছুরিকাঘাতকারীরা পালিয়ে যায়। পরে আহতাবস্থায় ইমনকে কক্সবাজার সদর হাসপাতাল নেয়া হয়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়। চমেকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভোর রাতে ইমন মারা যায়।

তবে, বক্তব্যের জন্য যোগাযোগ করেও অভিযুক্ত আবদুল্লাহকে পাওয়া যায়নি। তার পরিবারও কোন কথা বলতে রাজি হয়নি।
কক্সবাজার সদর থানার ওসি শেখ মুনীর উল গীয়াস বলেন, খবর পেয়ে সদর হাসপাতালে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি আগের হামলার বদলা নিতেই ইমনকে হত্যা করা হয়েছে। এ হত্যার সাথে আবদুল্লাহসহ আর যারা জড়িত তাদের ধরতে অভিযান চলছে।

উল্লেখ্য, পক্ষকাল আগে কক্সবাজার সদরের খুরুশকুলের ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সম্মেলন শেষে বাড়ি ফেরার পথে পুলিশের সামনে উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা ফয়সালকে কুপিয়ে নৃশংস ভাবে হত্যা করে চিহ্নিত দুর্বৃত্তরা। নুরুল হুদা নামে এক কলেজ ছাত্র হত্যায় ফসয়াল জড়িত সন্দেহে বদলা নিতে তাকে হত্যা করা হয়। এর দু’সপ্তান্তে পূর্ব ঘটনার বদলা নিতে ওয়ার্ড ছাত্রলীগ নেতা ইমন হত্যার শিকার হলো। বিষয়গুলো উদ্বেগের জন্ম দিয়েছে।

Related Articles

Back to top button